২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক -নির্বাচনী পরীক্ষার রুটিন।
প্রবল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এক সময়ের অবহেলিত ও অনগ্রসর জনপথ হিসেবে পরিচিতি ছিল বংলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এই অনগ্রসরাতর পিছনে বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রধান কারণ ছিল উচ্চ শিক্ষার শূণ্যতা। বৃহৎ এই এলাকা পাথরঘাটা, বামনা, কাঠালিয়া ও শরণখোলা জুড়ে কোন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ ছিল না। আর তখই এই এলাকার তরুন-তরুনীদের জীবন-জীবিকার সংগ্রামরে পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুপ্ত বাসনাকে বাস্তবায়নের প্রায়াসে মঠবাড়িয়ার কতিপয় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী আজকের এই মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ। তখথন এই প্রতিষ্ঠানটি স্বল্প কয়েকজন ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন জনাব আজহারুল হক। শিক্ষক ছিলেন মাত্র ০৯ জন। দারিদ্রের নিষ্ঠুর কষাঘাত ও সমাজের নির্মম বাস্তবতার কারণে কর্মজীবনে প্রবেশের পরও উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহের কারণে প্রতি বছরই কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৯৬ জন।
More →কোন জাতি বা জনগোষ্ঠির অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো শিক্ষা। যতদিন পর্যন্ত কোন জাতি শিক্ষিত না হবে তত দিন তাদের অবহেলা, গঞ্জনা, বঞ্ছনার অবসান সম্ভব হবে না। আর এই মহা সত্যকে উপলব্ধি করেই যুগে যুগে মহামানবগণ মনবজাতির মুক্তি ও মহাকল্যাণের নিমিত্তে শিক্ষাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসে সহজলভ্য ও সহজসাধ্য করার প্রয়াস চালিয়েছেন। আর তাদের এই মহান প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে গড়ে উঠেছে মানব জাতির মুক্তি ও উন্নতির আলোকবর্তিকা স্বরূপ অসংখ্য বিদ্যাপিঠ।
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ, এক সময়ে অবহেলিত ও অনগ্রসর বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদে এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহে শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে৷ স্বাধীনতার প্রাক্কালে এতদঅঞ্চলের কতিপয় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মহৎপ্রাণ ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ৷ তারপর বিভিন্ন চড়াই উত্রাই পার হয়ে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে এই কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়৷ শিক্ষার যে মশাল একদিন এ প্রতিষ্ঠানে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল তা হাজারো শিক্ষক ও অগণিত শুভার্থীদের অবিরাম পরিশ্রমে এখন পত্র-পল্লবস্নানে এবং পুষ্পে সুশোভিত হয়ে মহীরূহের রূপ ধারণ করেছে৷ বর্তমানে এ কলেজের কলেবর অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এখানে এখন ৪টি বিভাগে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে৷ অবকাঠামোগত দিক দিয়েও এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে৷
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শীর্ষ বিদ্যাপীঠ মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ। অত্র অঞ্চলের কতিপয় শিক্ষানুরাগী মহান ব্যক্তির অসামান্য অবদান ও নিরলস প্রচেষ্টার ফসল আজকের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ৷
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজে বর্তমান ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে৷ তাছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা), ডিগ্রি (পাস) কোর্স (বিএ/বিএসএস/বিবিএস) চালু রয়েছে৷
শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে¨ এ কলেজে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷ যেমন-কুইজ পরীক্ষা, ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক বার্ষিক পরীক্ষা ইত্যাদি৷ নির্বাচনি পরীক্ষার পর ছোট ছোট গ্রুপ করে এক একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষনের আওতায় তাদের অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে কলেজের সার্বিক ফলাফলে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে।
কলেজে জাতীয় পর্যায়ের সবগুলো অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়৷ তাছাড়া কলেজে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চার মনোরম পরিবেশ রয়েছে৷ লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজে প্রতি বছর আন্তঃ ও বহি: ক্রীড়া অনুষ্ঠিত হয়৷
বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কলেজে একটি কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা। কলেজে রয়েছে একটি ডায়নামিক ওয়েব সাইট। কলেজে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ৷ বিজ্ঞান ভবনের এক্সটেনশন কাজ সমাপ্তির পথে৷ কিছুদিনের মধ্যে আরো দুটি ভবনের কাজ শুরু হবে৷
এ কলেজে রয়েছে সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ৷ শিক্ষক, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদের সুন্দর পরিকল্পনা ও উচ্চ অভিপ্রায়ে প্রতিষ্ঠানটি একদিন একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে-এ আশাই সকলের অন্তরে৷
More →