স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ১ম বর্ষের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর উপবৃত্তি সংক্রান্ত
কোন জাতি বা জনগোষ্ঠির অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো শিক্ষা। যতদিন পর্যন্ত কোন জাতি শিক্ষিত না হবে তত দিন তাদের অবহেলা, গঞ্জনা, বঞ্চনা অবসান সম্ভব হবে না। আর এই মহা সত্যকে উপলব্ধি করেই যুগে যুগে মহামানবগণ মানবজাতির মুক্তি ও মহাকল্যাণের নিমিত্তে শিক্ষাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসে সহজলভ্য ও সহজসাধ্য করার প্রয়াস চালিয়েছেন। আর তাদের এই মহান প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে গড়ে উঠেছে মানব জাতির মুক্তি ও উন্নতির আলোকবর্তিকা স্বরূপ অসংখ্য বিদ্যাপিঠ।
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ, এক সময়ে অবহেলিত ও অনগ্রসর বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদে এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহে শিক্ষা বিস্তারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে৷ স্বাধীনতার প্রাক্কালে এতদঅঞ্চলের কতিপয় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মহৎপ্রাণ ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ৷ তারপর বিভিন্ন চড়াই উত্রাই পার হয়ে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে এই কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়৷ শিক্ষার যে মশাল একদিন এ প্রতিষ্ঠানে প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল তা হাজারো শিক্ষক ও অগণিত শুভার্থীদের অবিরাম পরিশ্রমে এখন পত্র-পল্লবস্নানে এবং পুষ্পে সুশোভিত হয়ে মহীরূহের রূপ ধারণ করেছে৷ বর্তমানে এ কলেজের কলেবর অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এখানে এখন ৪টি বিভাগে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে৷ অবকাঠামোগত দিক দিয়েও এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে৷
যুগের চাহিদা অনুসারে এ প্রতিষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধ এবং যুগোপযোগী করার জন্য এ কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের সে প্রচেষ্টা ফলবতী হোক; বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদে এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহের অগণিত মানুষের শুভেচ্ছাসিঞ্চনে— এ প্রার্থনা আমাদের৷
প্রফেসর গোলাম মোস্তফা
অধ্যক্ষ
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ, পিরোজপুর